প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সহজ জয় তুলে নিতে পারলেও, সেন্ট জর্জ ওভালে সেই ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটাতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। খারাপ ব্যাটিং পারফরম্যান্স এবং বোলারদের ব্যর্থতার জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৮ উইকেটে হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। সেইসঙ্গেই সিরিজ ১-১-এ সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডে জর্জির দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরীতে ভর করে এদিন ভারতকে কার্যত হেলায় হারিয়েই সিরিজে সমতায় ফিরল প্রোটিয়া বাহিনী। শেষ ম্যাচেই সিরিজের ফলাফল নির্ধারণ।
প্রথম ম্যাচে যে ভারতীয় বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়নি। এদিন তারাই একটির বেশী উইকেট তুলতে পারল না প্রোটিয়া শিবিরের। ভারতীয় দলের ব্যাটাররাও সেভাবে নিজেদের পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি। এই মাঠের পরিসংখ্যান কিন্তু ব্যাটারদের পক্ষেই রয়েছে। তবুও সেখানে লোকেশ রাহুল, রুতুরাজ গায়কোয়াড় সহ রিঙ্কু সিংরা সকলেই ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। ভারতীয় দলের হয়ে এদিন মাত্র একটি উইকেটই তুলতে পেরেছিলেন অর্শদীপ সিং।
১২২ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা টনি ডে জর্জি
টস জিতে এদিন ভারতীয় দলকেই প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। পরিকল্পনা ছিল ভারতীয় দলকে কম রানের মধ্যে শেষ করে দেওয়া। নান্দে বার্গার, বিউরান হেনড্রিকসরা সেই কাজটা একেবারে নিখুঁতভাবে করেছিলেন। এদিনও ওপেনিংয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। রান পাননি তিলক বর্মাও। ১০ রানেই থামতে হয়েছিল তাঁকে। সাই সুদর্শন ও লোকেশ রাহুল যদি পার্টনারশিপটা না তৈরি করতেন দবে ভারতীয় দল এদিন দেড়শো রানও বোধহয় টপকাতে পারত না।
এদিনও ভারতের হয়ের সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সাই সুদর্শন। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল করেছিলেন ৫৬ রান। তিনি যখন সাজঘরে ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৬৭। অভিষেক হওয়া রিঙ্কু সিংও এদিন ফিনিশারের ভূমিকায় সাফল্য পাননি। কেরিয়ারের প্রথম ওডিআই ম্যাচে মাত্র১৭ রানেই থেমেছেন তিনি। শেষপর্যন্ত ২১১ রানই করতে পেরেছিল টিম ইন্ডিয়া।
ঘরের মাঠে জয় পেতে খুব একটা বেশী অসুবিধা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ভারতের বিরুদ্ধে প্রোটিয়াদের ওপেনিং জুটিরই ১৩০ রানের পার্টনারশিপ। ৫২ রানে রেজা হেনড্রিকসকে যখন অর্শদীপ সিং সাজঘরে ফেরান সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ক্রিজে এদিন টনি ডে জর্জিকে আটকানো এদিন আর সম্ভব হয়নি ভারতীয় বোলিং লাইনআপের। তাঁর চওড়া ব্যাটের সেঞ্চুরীতে ভর করেই ভারতকে হারিয়ে সমতায় ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডে জর্জির ব্যাটে এদিন শুধুই ছিল চার ও ছয়ের ঝলক। ১১৯ রানের সেঞ্চুরী ইনিংস জুড়ে রয়েছে ৯টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারি।
অভিষেক ম্যাচে এদিন রান না পালেও রিঙ্কু অবশ্য একটি উইকেট পেয়েছিলেন। যদিও যে সময় তিনি উইকেট পেয়েছিলেন ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল।