ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এ অষ্টম জয় পেল ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সামনে ২৪৩ রানে হারল টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় পরাজয়।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ২৪ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটির হাত ধরে ভারতের শুরুটা খুব ভালোভাবে হয়। শুভমন গিল ২৪ বলে ২৩ রান করতে সক্ষম হন। এরপর বিরাট কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ারের মধ্যে ১৩৪ রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। বিরাট এই ম্যাচে নিজের ৪৯ তম শতরানটি সম্পূর্ণ করেন। তিনি শেষ অবধি ক্রিজে টিকেছিলেন। তিনি ১০টি চার সহ ১২১ বলে ১০১ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, শ্রেয়াস ৮৭ বলে ৭৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
কেএল রাহুলের ব্যাট থেকে বেশি রান আসেনি। তিনি ১৭ বলে মাত্র ৮ রান করে নিজের উইকেট হারান। সূর্যকুমার যাদব ১৪ বলে ২২ রান করেন। রবীন্দ্র জাদেজা ১৫ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২৬ রান করে ভারত। কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাডা, মার্কো জ্যানসেন, লুঙ্গি এনগিডি এবং তাবরেজ শামসি ১টি করে উইকেট পান।
মাত্র ৮৩ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস
রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মার্কো জ্যানসেন। তিনি ৩০ বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। টেম্বা বাভুমা, রাসি ফান ডার ডুসেন এবং ডেভিড মিলার যথাক্রমে ১৯ বলে ১১ রান, ৩২ বলে ১৩ রান এবং ১১ বলে ১১ রান করেন। এই চারজন বাদে দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোনো ব্যাটার দুই সংখ্যার রান করতে পারেননি। শেষমেশ ২৭.১ ওভারে মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই ম্যাচে ভারতের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ৯ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দেন এবং এর বিনিময়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন। মহম্মদ শামি এবং কুলদীপ যাদব যথাক্রমে ৪ ওভারে ১৮ রান এবং ৫.১ ওভারে ৭ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। মহম্মদ সিরাজ ১টি উইকেট পান।