আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচটি জিতে নেওয়ার মাধ্যমে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দুর্ধর্ষ দ্বিশতরান অস্ট্রেলিয়াকে এই জয় এনে দেয়।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে ২১ রান আসে। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ১৪৩ বলে অপরাজিত ১২৯ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৩টি ছয়। রহমত শাহ এবং হসমতউল্লাহ শাহিদী যথাক্রমে ৪৪ বলে ৩০ রান এবং ৪৩ বলে ২৬ রান করেন। জাদরান এবং রহমতের মধ্যে ৮৩ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে।
মহম্মদ নবি স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ১০ বলে ১২ রান করেন। শেষে রশিদ খান ১৮ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনি এবং জাদরান মিলে ৫৮ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ করেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান করে আফগানিস্তান। জশ হ্যাজেলউড ২টি উইকেট শিকার করেন। মিচেল স্টার্ক, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যাডাম জাম্পা ১টি করে উইকেট নেন।
আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া
রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। তারা মাত্র ৯১ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ২৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে আউট হন। মিচেল মার্শ শুরুটা খুব ভালোভাবে করেছিলেন, কিন্তু তিনি সেটিকে বড় ইনিংসে রূপান্তরিত করতে পারেননি। তিনি ২টি চার এবং ২টি ছয় সহ ১১ বলে ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মার্নাস ল্যাবুশেন ২৮ বলে ১৪ রান করে রান আউট হন। জশ ইঙ্গলিস এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। মার্কাস স্টোইনিসও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তিনি ৭ বলে ৬ রান করতে সক্ষম হন। মিচেল স্টার্ক ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৯১ রানের মধ্যেই ৭টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ইনিংসের সামনে আফগানিস্তানকে হারতে হয়। তিনি খেলার মাঝে চোটও পেয়েছিলেন। কিন্তু তাও তিনি মাঠ ছাড়েননি। শেষমেশ ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৪৬.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৩ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। নবীন-উল-হক, রশিদ খান এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি করে উইকেট নেন। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।