সঞ্জু স্যামসনের দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরীতে রাস্তাটা প্রশস্ত হয়েই গিয়েছিল। বল হাতে অর্সদীপ সিং এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়াটাই শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি ফোটাল ভারত অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের মুখে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রনে জয়ের সঙ্গে সিরিজও জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। এদিন প্রথমে ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ২৯৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারতীয় দল। এদিনও প্রোটিয়াদের বড় রান করেছেন টনি ডে জর্জি। কিন্তু ভারতকে হারানোর জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।
বল হাতে এই সিরিজে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন অর্শদীপ সিং। এদিনই দক্ষিণ আফ্রিকা্র তারকা খচিত ব্যাটিং লাইনআপকে থামানোর কাজটা তিনিই করেছিলেন। সঞ্জু স্যামসন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরী করে রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই রাস্তাতে হেঁটে ৪ উইকেট নিয়ে অর্শদীপ সিং ম্যাচের রাশ সম্পূর্ণভাবে ভারতের দখলে নিয়ে চলে আসেন। গতম্যাচে যে টনি ডে জর্জি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের নায়ক ছিলেন। সেই টনি ডে জর্জির উইকেট তুলে নিয়েই ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং। সেটাই যে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
১০৮ রানের ইনিংস খেলে ভারতের জয়ের নায়ক সঞ্জু স্যামসন
টস জিতে এদিন ভারতীয় দলকেই প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিনও অবশ্য শুরুতেই ভারতীয় দলের ওপেনিং অর্ডার ব্যর্থ হয়েছিল। এদিন সঞ্জু স্যামসন যে সময় মাঠে এসেছিলেন, বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ছিল ভারতয সেই সময় টিম ইন্ডিয়ার রান ছিল ১ উইকেটে ৩৪। এর কিছুক্ষণের মধ্যে লোকেশ রাহুল এবং রজত পাতিদাররের উইকেটও হারায় ভারতীয় দল। সেই জায়গা থেকেই দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। সঙ্গে অবশ্য যোগ্য সঙ্গত পেয়েছিলেন তিলক বর্মার। সেই জায়গা থেকেই ধীরে ধীরে বড় ইনিংস খেলার পথে এগিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন।
সঞ্জু স্যামসন যখন থামেন সেই সময় তাঁর রান ১১৪ বলে ১০৮। ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩৪৬। সেই জায়গা থেকেই শেষ মুহূর্তে একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতীয় দলের ২৯৬-এ পৌঁছে দেন রিঙ্কু সিং। দক্ষিণ আফ্রিকাও অবশ্য শুরুটা বেশ ভালভাবেই করেছিল। তাদের ওপেনিং পার্টনারশিপ ছিল ৫৯ রানের। এদিনও ভারতীয় দলকে চিন্তায় রেখেছিলেন টনি ডে জর্জি। এই ম্যাচেও ধীরে ধীরে বড় রানের পথে এগোতে শুরু করেছিলেন তিনি।
টনি ডে জর্জি অর্ধশতরান করার পরই ভারতীয় ক্রিকেটারদের মুখেও খানিকটা চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। সেই জায়গাতেই টনি ডে জর্জিকে ৮১ রানে থামিয়ে দেন অর্শদীপ সিং। আর সেটাই যে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই জায়গা থেকেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন একাই ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন অর্শদীপ সিং। এই জয়ের সঙ্গেই দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরের মাটিতে ওডিআই সিরিজ জিতে নিলেন লোকেশ রাহুল।