প্ৰথম টেস্টে দিমুথ করুনারত্নের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে পরাজিত করল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। ম্যাচের পঞ্চম দিনে এসে এই জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
প্ৰথম ইনিংসে তাড়াতাড়ি চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস এবং ধনঞ্জয় দি সিলভার দুর্দান্ত পার্টনারশিপের হাত ধরে স্কোরবোর্ডে ভালো রান নথিভুক্ত করতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। ম্যাথিউস ১০৯ বলে ৬৪ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই ইনিংসে তিনি ৯টি চার মেরেছিলেন। অন্যদিকে, সিলভা একটি দুর্দান্ত শতরান করেছিলেন। তিনি ১২টি চার এবং ৩টি ছয় সহ ২১৪ বলে ১২২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। এই দুজন বাদে শ্রীলঙ্কার আর কোনও ব্যাটার এই ইনিংসে ৪০ রানের গন্ডি পার করতে পারেননি।
শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং আবরার আহমেদ প্রত্যেকেই ৩টি করে উইকেট শিকার করেছিলেন। আগা সালমান ১টি উইকেট নিয়েছিলেন।
প্ৰথম ইনিংসে পাকিস্তানের টপ অর্ডারও স্কোরবোর্ডে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেনি। এরপর সাউদ শাকিল এবং আগা সালমান মিলে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। সালমান ৯টি চার এবং ১টি ছয় সহ ১১৩ বলে ৮৩ রান করেছিলেন। শাকিল ৩৬১ বলে ২০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার এই অসাধারণ ইনিংসে ছিল ১৯টি চার। রমেশ মেন্ডিস খুব ভালো বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি ৪২.২ ওভারে ১৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। প্রবাথ জয়সূর্য ৩৫ ওভারে ১৪৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন। বিশ্ব ফার্নান্দো এবং কাসুন রাজিথা ১টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন ইমাম-উল-হক
দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩.১ ওভারে ২৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয় দিল সিলভা এই ইনিংসেও একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি ১১৮ বলে ৮২ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ২টি ছয়। ওপেনার নিশান মাদুশকা ১১৫ বলে ৫২ রান করেন। শেষে মেন্ডিস ৭৯ বলে ৪২ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। নওমান আলি এবং আবরার আহমেদ ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। শাহীন আফ্রিদি এবং আগা সালমান ২টি করে উইকেট পেয়েছিলেন।
জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩১ রান। তারা ৩২.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নেয়। ইমাম-উল-হক ৮৪ বলে অপরাজিত ৫০ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। প্রবাথ জয়সূর্য ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তবে তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাউদ শাকিল।