এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৬ রানে পরাজিত করল বাংলাদেশ। সুপার ফোরে এটি ছিল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলের প্ৰথম জয়। অন্যদিকে, চলতি এশিয়া কাপে এটি ছিল রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলের প্ৰথম পরাজয়।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। বাংলাদেশ শুরুটা একদমই ভালোভাবে করতে পারেনি। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজিদ হাসান যথাক্রমে ২ বলে ০ রান এবং ১২ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আনামুল হক এবং মেহেদী হাসান মিরাজও স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি। বাংলাদেশ মাত্র ৫৯ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এরপর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং তৌহিদ হৃদয় মিলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন। তাদের দুজনের মধ্যে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
সাকিব ৮৫ বলে ৮০ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৬টি চার এবং ৩টি ছয় মেরেছিলেন। হৃদয় ৮১ বলে ৫৪ রান করে আউট হন। এরপর নাসুম আহমেদের ব্যাট থেকে ভালো রান এসেছিল। তিনি ৪৫ বলে ৪৪ রান করতে সক্ষম হন। শেষে মাহেদী হাসান এবং তানজিম হাসান সাকিব দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। মাহেদী ২৩ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তানজিম ৮ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন। শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ।
শার্দুল ঠাকুর ১০ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। মহম্মদ শামি ৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন।
১ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। তিনি তার রানের খাতা খুলতে পারেননি। তিলক ভার্মা বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। এই ম্যাচে ফর্মে থাকা দুই ব্যাটার কেএল রাহুল এবং ইশান কিষানও ব্যর্থ হয়েছেন। সূর্যকুমার যাদব ৩৪ বলে ২৬ রান করতে সক্ষম হন। রবীন্দ্র জাদেজা ১২ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শুভমন গিল। তিনি একটি দুরন্ত শতরান করেন। ১৩৩ বলে ১২১ রান করেন ২৪ বছর বয়সী এই ওপেনিং ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৫টি ছয়। দুর্ভাগ্যবশত, তার সাথে কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি।
অক্ষর প্যাটেল ৩টি চার এবং ২টি ছয় সহ ৩৪ বলে ৪২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। কিন্তু শেষমেশ ভারতীয় দল ম্যাচটি জিততে পারেনি। ভারত ৪৯.৫ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। মুস্তাফিজুর রহমান ৮ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। তানজিম হাসান সাকিব এবং মাহেদী হাসান যথাক্রমে ৭.৫ ওভারে ৩২ রান এবং ৯ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট পান।