অ্যাডাম জাম্পা রাস্তাটা আগেই তৈরি করে দিয়েছিলেন। অপেক্ষা ছিল ব্যাটারদের থেকে একটা বড় পারফর্ম্যান্সের। সেটাই এদিন করে দেখালেন মিচেল মার্শ ও জশ ইঙ্গলিস। ব্যাট হাতে এই দুই বোলারের অর্ধশতরানের ইনিংসে ভর করেই ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম জয়টা তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জয়ের হাসি ফুটল অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মুখে। আর তাতেই আপ্লুত সকলে। শ্রীলঙ্কার ২০৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৫.১ ওভারেই জয়ের রান তুলে নিল অজি ব্রিগেড। ৫ উইকেটে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া।
এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা একেবারেই ভালভাবে করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। পরপর দুই ম্যাচ হেরে এবারের বিশ্বকাপের মঞ্চে যাত্রাটা শুরু করেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মরণ বাঁচন ম্যাচে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেখানে বল হাতে লড়াইটা প্রথমে শুরু করেছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। একাই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। বাকিটা শেষ করলেন মিচেল মার্শ ও জশ ইঙ্গলিস।
৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা
১২৫ রানে প্রথম উইকেট পড়েছিল শ্রীলঙ্কার। সেই পরিস্থিতি থেকে ২০৯ রানেই শেষ তারা। মাত্র ৮৪ রানের মধ্যে বাকি ৯ উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা বাহিনী। অ্যাডাম জাম্পা এবং মিচেল স্টার্কের কাউন্টার অ্যাটাকের লামনে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণই করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপকে।
পাথুম নিসাঙ্কা এবং কুশল পেরেরার হাত ধরে শ্রীলঙ্কা শুরুটা বেশ ভালভাবেই করেছিল। যেভাবে শ্রীলঙ্কার ওপেনিং জুটি ১২৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিল, তাতে শ্রীলঙ্কা এদিন ৩০০ রানের গন্টী টপকে গেলেও হয়ত অবাক হওয়ার মতো কিছুই থাকত না। কিন্তু এই দুই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অ্যাডাম জাম্পা। সেখানেই দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা স্পিনার। এক ওভারে কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামাবিক্রমার মতো দুই তারকাকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন ২০৯ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেইআক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন অজি ব্যাটাররা। তবে ডেভিড ওয়ার্নার এদিন ১১ রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও মিচেল মার্শ এদিন আর কোনও ভুল করেননি। তাঁর ৫২ রানের ইনিংস সৌজন্যে জয়ের রাস্তাটা পাকা করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। বাকিটা সামলে দিয়েছিলেন আরেক তারকা ক্রিকেটার জশ ইঙ্গলিস। শেষ মুহূর্তে তাঁর ৫৮ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস। মার্মনাস লাবুশানেও ৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
ম্যাচের ৩৫ নম্বর ওভারে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম জয়টা এনে দেন মার্কাস স্টয়নিস।