এশিয়া কাপ ২০২৩-এর চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে পরাজিত করল বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি জিতে নিয়ে নিজেদের সুপার ফোরে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের দুই ওপেনার মহম্মদ নাইম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। নাইম ৩২ বলে ২৮ রান করে আউট হন। তৌহিদ হৃদয় এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ২১৫ রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ করেন। দুইজনেই শতরানের গন্ডি পার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মিরাজ ১১৯ বলে ১১২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ৩টি ছয়। অন্যদিকে, শান্ত ১০৫ বলে ১০৪ রান করে রান আউট হন। তিনি এই ইনিংসে ৯টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান যথাক্রমে ১৫ বলে ২৫ রান এবং ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে আফগানিস্তানের মাত্র দুইজন বোলার উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। মুজিব উর রহমান এবং গুলাবদিন নায়েব যথাক্রমে ১০ ওভারে ৬২ রান এবং ৮ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি তিনটি উইকেট রান আউটের মাধ্যমে পেয়েছিল আফগানিস্তান।
দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করে বাংলাদেশ
আফগানিস্তান রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই একটি উইকেট হারায়। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ৭ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর ইব্রাহিম জাদরান এবং রহমত শাহ ৭৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। রহমত ৫৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন। অন্যদিকে, জাদরান ১০টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৭৪ বলে ৭৫ রান করেন। অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদী ৬০ বলে ৫১ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। নাজিবুল্লাহ জাদরান বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ২৫ বলে ১৭ রান করতে সক্ষম হন। মহম্মদ নবী ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। গুলাবদিন নায়েব ১৩ বলে ১৫ রান করেন। শেষে রশিদ খান ১৫ বলে ২৪ রান করতে সক্ষম হন। ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানে শেষ হয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস।
তাসকিন আহমেদ ৮.৩ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন। শরিফুল ইসলাম ৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন।