এশিয়া কাপ ২০২৩-এর সুপার ফোরের পঞ্চম ম্যাচে একটি রুদ্ধশ্বাস জয় পেল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানকে ২ উইকেটে পরাজিত করে চলতি এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল দাসুন শানাকার নেতৃত্বাধীন দল।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বৃষ্টির কারণে খেলার ওভার কমে ৪৫ হয়ে গিয়েছিল। তারপর খেলার মাঝে আবার বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটায়। যার ফলে আরও ৩ ওভার কমে গিয়ে ম্যাচ ৪২ ওভারের হয়ে দাঁড়ায়। ফখর জামানের খারাপ ফর্ম অব্যাহত রয়েছে। তিনি এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে বেশি রান করতে পারেননি। অন্যদিকে, ইমাম-উল-হকের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিক ৬৯ বলে ৫২ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। এরপর অধিনায়ক বাবর আজম ৩৫ বলে ২৯ রান করতে সক্ষম হন। এই ম্যাচে মহম্মদ রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। তিনি ৭৩ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ২টি ছয়।
মহম্মদ হ্যারিস এবং মহম্মদ নওয়াজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। হ্যারিস ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন। অন্যদিকে, নওয়াজ ১২ বলে ১২ রান করতে সক্ষম হন। ইফতিখার আহমেদ ৪টি চার এবং ২টি ছয় সহ ৪০ বলে ৪৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার এবং রিজওয়ানের মধ্যে ১০৮ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। শেষমেশ ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান করে পাকিস্তান।
মাথিশা পাথিরানা ৮ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। প্রমোদ মদুশান ৭ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মহেশ থিকসানা এবং দুনিথ ওয়াল্লালাগে ১টি করে উইকেট নিতে সক্ষম হন।
কুশল পেরেরা রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি ৮ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন। পথুম নিসাঙ্কা ৪৪ বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর কুশল মেন্ডিস এবং সাদিরা সামারাবিক্রমা মিলে ১০০ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ করেন। সামারাবিক্রমা ৫১ বলে ৪৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলে আউট হন। অন্যদিকে, মেন্ডিস ৮৭ বলে ৯১ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৮টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। অধিনায়ক দাসুন শানাকা ব্যাট হাতে ভালো অবদান রাখতে ব্যর্থ হন।
চরিথ আসালাঙ্কা ৪৭ বলে অপরাজিত ৪৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ম্যাচের শেষ বলে ২৫২ রানে পৌঁছে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচটি জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। ইফতিখার আহমেদ ৮ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। শাহীন আফ্রিদি ৯ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। শাদাব খান ১টি উইকেট পান। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান কুশল মেন্ডিস। ১৭ই সেপ্টেম্বর, রবিবার, ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচটি খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা।
এই ম্যাচ নিয়ে টুইটারে অনেকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন –