ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৮ তম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারাল অস্ট্রেলিয়া। এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় জয়।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ মিলে ২৫৯ রানের একটি দুর্ধর্ষ পার্টনারশিপ করেন। ওয়ার্নার ১২৪ বলে ১৬৩ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার এই ইনিংস ছিল ১৪টি চার এবং ৯টি ছয়। মার্শ ১০টি চার এবং ৯টি ছয় সহ ১০৮ বলে ১২১ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। এই দুইজন ব্যাটার আউট হওয়ার পর বল হাতে দারুণভাবে কামব্যাক করে পাকিস্তান।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। স্টিভ স্মিথ, মার্নাস ল্যাবুশেন এবং জশ ইঙ্গলিস ভালো রান করতে ব্যর্থ হন। স্মিথ ৯ বলে ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ইঙ্গলিস ৯ বলে ১৩ রান করে নিজের উইকেট হারান। ল্যাবুশেন ১২ বলে মাত্র ৮ রান করতে সক্ষম হন। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ৮ বলে অপরাজিত ৬ রান করেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন শাহীন আফ্রিদি। তিনি ১০ ওভারে ৫৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন। হারিস রউফ ৩টি উইকেট নেন। উসামা মির ১টি উইকেট পান।
২৭ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান
পাকিস্তানের দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক এবং আবদুল্লাহ শফিক রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেন। তাদের মধ্যে ১৩৪ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। শফিক ৭টি চার এবং ২টি ছয় সহ ৬১ বলে ৬৪ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। ইমাম ৭১ বলে ৭০ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার। অধিনায়ক বাবর আজম বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ১৪ বলে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
মহম্মদ রিজওয়ান এবং সাউদ শাকিল যথাক্রমে ৪০ বলে ৪৬ রান এবং ৩১ বলে ৩০ রান করেন। ইফতিখার আহমেদ ২০ বলে ২৬ রান করতে সক্ষম হন। মহম্মদ নওয়াজ স্কোরবোর্ডে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ১৬ বলে ১৪ রান করে নিজের উইকেট হারান। শেষমেশ ৪৫.৩ ওভারে ৩০৫ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন অ্যাডাম জাম্পা। তিনি ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। প্যাট কামিন্স এবং মার্কাস স্টোইনিস ২টি করে উইকেট শিকার করেন। মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজেলউড ১টি করে উইকেট পান। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ডেভিড ওয়ার্নার।