বাবর আজমও ইফতিকার আহমেদের জোড়া সেঞ্চুরী ইনিংসটাই পাকিস্তানেক জয়ের রাস্তাটা পাকা করে দিয়েছিল । তাদের হাত ধরে বিরাট রানো পৌঁছনোর পর থেকে পাকিস্তানের জয়টা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেখানে বল হাতেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন শাহিন আফ্রিদি, শাদাব খানরা। পাকিস্তানের ৩৪২ রানেরচা়া করতে নেমে প্রথম ম্যাচে ১০৪ রানেই শেষ হয়ে গেল নেপাল। ২৩৮ রানের ব্যবধানে জিতেই এবারের এসিয়া কাপে যাত্রাটা শুরু করল পাকিস্তান। এই পরারফরম্যান্স যে তাদের অনেকটাই আত্মবিশ্বাস যোগাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
টস জিতে এদিন নেপালের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিুদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবর আজম। ধারেভারে এগিয়ে থেকা পাকিস্তান এদিন যে তাদের ব্যাটিং শক্তিটা দেখে নিতে চেয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শুরুতেই দুই ওপেনার সাজঘরের রাস্তা ধরেছিলেন। পাকিস্তান শিবিরের ওপর খানিকটা চাপও তৈরি হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতেই দলের হাল ধরেন অদিনায়ক বাবর আজম। সঙ্গে সঙ্গত দেন মহম্মদ রিজওয়া। কিন্তু এদিনও সেই রান আইট হয়েই সাজগরে ফিরতে হয়েছিল এই তারকা ক্রিকেটারকে। অর্ধশতারানেই থেমে গিয়েছিল তাদের পার্টনারশিপটা।
১৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরার শিরোপা উঠেছে বাবর আজমের মাথায়
কিন্তু ততক্ষণে বাবর আজম ক্রিজে নিদের জায়গাটা শক্ত করে নিয়েছে। ইফতিকার আহমেদকে সঙ্গে নিয়েই নেপালের বিরুদ্ধে রানের পাবাড় গড়ার কাজটা শুরু করে দেন তিনি। সময় যতই এগোতে থাকে বাবর আজম ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন নেপাল বোলারদের বিরুদ্ধে। এশিয়া কাপের ম়্চে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে দেড়শো রান করার রেকর্ডও গড়েন তিনি। শেষপর্যন্ত ১৫১ রানে থামেন েইঅ তারকা ক্রিকেটার। কিন্তু ততক্ষণে পাকিস্তানেরক জয়ের রাস্তাটা একেবারেই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে।
তাঁকে এদিন যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন আরেক তারকা ক্রিকেটার ইফতিকার আহমেদ। তাঁর ব্যাট থেকেও দেখা গেল সেঞ্চুরীর ঝলক। ৭১ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিতই ছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। তাঁর ইনিংস জুড়ে রয়েছে ১১টি চার ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি। পাকিস্তান থামে ৩৪২ রানে। নেপালের টপ অর্ডারকে এদিন ক্রিজে বেশীক্ষণ থাকতেই দেননি শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
শুরু থেকেই তাদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল নেপালের ব্যাটিং লাইঅনআপ। নেপালের অধিনায়ককে তো রানের খাতাই খুলতে দেননি শাহিন আফ্রিদি। তিনি তুলে নিয়েছেন জোড়া উইকেট। হারিস রওফেরও শিকার দুই উইকেট। তবে এদিন নেপালের হয়ে খানিকটা লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি। কিন্তু সেই লড়াই যথেষ্ট ছিল না। মাঠে শাদাব খানের স্পিন শুরু হওয়ার পরদ থেকেই নেপালের অল আউট হওয়াটা যেন ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। শাদাবের শিকার চার উইকেট। নেপাল থেমে যায় ১০৪ রানে।