ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ২৬ তম ম্যাচে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান এবং টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচটিতে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪৬.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ২৭০ রান তুলতে সক্ষম হল পাকিস্তান।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালোভাবে করতে পারেনি পাকিস্তান। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং ইমাম-উল-হক স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। শফিক ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ইমাম ১৮ বলে মাত্র ১২ রান করে আউট হন। মহম্মদ রিজওয়ান ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করেছিলেন, কিন্তু তিনি বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। তিনি ২৭ বলে ৩১ রান করতে সক্ষম হন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ১টি ছয়। অধিনায়ক বাবর আজম ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৬৫ বলে ৫০ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তার এবং রিজওয়ানের মধ্যে ৪৮ রানের পার্টনারশিপ হয়। ইফতিখার আহমেদ বেশি রান করতে পারেননি। তিনি ৩১ বলে ২১ রান করে নিজের উইকেট হারান।
সাউদ শাকিল ৫২ বলে ৫২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার। শাদাব খান ৩৬ বলে ৪৩ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৩টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। তার এবং শাকিলের মধ্যে ৮৪ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। মহম্মদ নওয়াজ ২৪ বলে ২৪ রান করে নিজের উইকেট হারান। শাহীন আফ্রিদি ৪ বলে ২ রান করে আউট হন। মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৯ বলে ৭ রান করেন।
তাবরেজ শামসি এবং মার্কো জ্যানসেন খুব ভালো বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন
এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সবথেকে সফল বোলার ছিলেন তাবরেজ শামসি। তিনি ১০ ওভারে ৬০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন। তিনি বাবর আজম, ইফতিখার আহমেদ, সাউদ শাকিল এবং শাহীন আফ্রিদিকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।
মার্কো জ্যানসেন ৯ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তিনি আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল-হক এবং মহম্মদ নওয়াজকে আউট করেন। জেরাল্ড কোয়েটজি ৭ ওভারে ৪২ রান দেন এবং ২টি উইকেট নেন। তিনি মহম্মদ রিজওয়ান এবং শাদাব খানের উইকেট নিতে সক্ষম হন। লুঙ্গি এনগিডি ১টি উইকেট নেন। তিনি মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান।