ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ৪০ তম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান তুলল জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দল।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। ওপেনার জনি বেয়ারস্টো বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তিনি ১৭ বলে মাত্র ১৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার ডেভিড মালান ৭৪ বলে ৮৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১০টি চার এবং ২টি ছয় মারতে সক্ষম হন। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি রান আউট হন। জো রুট শুরুটা বেশ ভালোভাবে করেছিলেন, কিন্তু তিনি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তিনি ৩৫ বলে ২৮ রান করেন। তার এবং মালানের মধ্যে ৮৫ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। হ্যারি ব্রুক এবং জস বাটলার স্কোরবোর্ডে বেশি রান যোগ করতে পারেননি। ব্রুক ১৬ বলে মাত্র ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বাটলার ১১ বলে মাত্র ৫ রান করেন।
মইন আলি ব্যাট হাতে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হন। তিনি ১৫ বলে মাত্র ৪ রান করতে সক্ষম হন। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন বেন স্টোকস। তিনি ৮৪ বলে ১০৮ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৬টি ছয়। তার এবং ক্রিস ওকসের মধ্যে ১২৯ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। ওকস ৫টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৪৫ বলে ৫১ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। ডেভিড উইলি ২ বলে ৬ রান করতে সক্ষম হন।
বাস ডি লিড ৩টি উইকেট নিতে সক্ষম হন
এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন বাস ডি লিড। তিনি ১০ ওভারে ৭৪ রান দেন এবং ৩টি উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। তিনি হ্যারি ব্রুক, ক্রিস ওকস এবং ডেভিড উইলিকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। আরিয়ান দত্ত ১০ ওভারে ৬৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট শিকার করেন। তিনি জনি বেয়ারস্টো এবং মইন আলিকে আউট করতে সক্ষম হন।
লোগান ফান বিক ১০ ওভারে ৮৮ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান। তিনি জো রুট এবং বেন স্টোকসের উইকেট নেন। পল ফান মিকেরেন ১০ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। তিনি জস বাটলারকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। এই ম্যাচে শেষমেশ কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।