অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্ৰথম ইনিংসে একটি দুরন্ত শতরান করলেন জ্যাক ক্রলি। তার এই দুর্দান্ত শতরানের হাত ধরে এই মুহূর্তে চালকের আসনে রয়েছে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড।
প্ৰথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৯০.২ ওভারে ১০ উইকেটে ৩১৭ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাওয়াজা পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ডেভিড ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। মার্নাস ল্যাবুশেন ১১৫ বলে ৫১ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার। এই সিরিজে এটি ছিল তার প্রথম অর্ধশতরান। স্টিভ স্মিথ ৫টি চার এবং ১টি ছয় সহ ৫২ বলে ৪১ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। ট্র্যাভিস হেড ৭টি চার সহ ৬৫ বলে ৪৮ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। মিচেল মার্শ ৬০ বলে ৫১ রান করেছিলেন। তিনি এই ইনিংসে ৭টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছিলেন। অ্যালেক্স কেরি এবং ক্যামেরন গ্রিন খুব বেশি রান করতে পারেননি। মিচেল স্টার্ক ৯৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এই ইনিংসে ইংল্যান্ডের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন ক্রিস ওকস। তিনি ২২.২ ওভারে মাত্র ৬২ রান দিয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেছিলেন। স্টুয়ার্ট ব্রড ১৪ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন। জেমস অ্যান্ডারসন, মার্ক উড এবং মইন আলি যথাক্রমে ২০ ওভারে ৫১ রান, ১৭ ওভারে ৬০ রান এবং ১৭ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়াকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ইংল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়ার প্ৰথম ইনিংসের রান টপকে দিয়ে এই মুহূর্তে খুব ভালো পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড। তারা শুরুতেই বেন ডাকেটের উইকেট হারিয়েছিল। তিনি ৬ বলে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর ইংল্যান্ডকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জ্যাক ক্রলি এবং মইন আলি মিলে ১২১ রানের একটি দুরন্ত পার্টনারশিপ করেন। মইন ৭টি চার সহ ৮২ বলে ৫৪ রান করে আউট হয়ে যান।
ক্রলি মাত্র ৯৩ বলে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেন। তিনি ১৮২ বলে ১৮৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তার এবং জো রুটের মধ্যে ১৯৪ রানের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। রুট নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। শীঘ্রই ইংল্যান্ডের বাকি উইকেটগুলি ফেলতে না পারলে এই ইনিংসে অনেকটাই পিছনে পড়ে যাবে প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া।