ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ৩৫ তম ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড এবং বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচে প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০১ রান তুলতে সক্ষম হল নিউজিল্যান্ড। এই রানের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রাখেন রাচিন রবীন্দ্র। এছাড়াও, চোট সারিয়ে প্ৰথম একাদশে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করলেন কেন উইলিয়ামসন।
এই ম্যাচে পাকিস্তান টসে জেতে এবং প্ৰথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তারা খুব একটা ভালো বোলিং পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করতে পারেনি। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৬৮ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেন। কনওয়ে ৬টি চার সহ ৩৯ বলে ৩৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। আরেক ওপেনার রাচিন ৯৪ বলে ১০৮ রানের একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ১৫টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন মাত্র ৫ রানের জন্য শতরান পাননি। তিনি ৭৯ বলে ৯৫ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ২টি ছয়। তার এবং রাচিনের মধ্যে ১৮০ রানের একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। এই পার্টনারশিপটির হাত ধরেই স্কোরবোর্ডে রানের পাহাড় গড়তে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।
ড্যারিল মিচেল ব্যাট হাতে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিলেন, কিন্তু তিনি সেটিকে বড় ইনিংসে রূপান্তরিত করতে পারেননি। তিনি ৪টি চার এবং ১টি ছয় সহ ১৮ বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। মার্ক চ্যাপম্যান ৭টি চার সহ ২৭ বলে ৩৯ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। গ্লেন ফিলিপস ২৫ বলে ৪১ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ২টি ছয়। শেষে মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে অপরাজিত ২৬ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। টম ল্যাথাম ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৩টি উইকেট নেন
এই ম্যাচে পাকিস্তানের সবথেকে সফল বোলার ছিলেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তিনি ১০ ওভারে ৬০ রান দেন এবং তার বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন।
হারিস রউফ এবং হাসান আলি দুজনেই ৮-এর বেশি ইকোনমি রেটে রান দেন। হারিস ১০ ওভারে ৮৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট শিকার করেন। তিনি ড্যারিল মিচেলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। অন্যদিকে, হাসান ১০ ওভারে ৮২ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। তিনি ডেভন কনওয়েকে আউট করেন। ইফতিখার আহমেদও ১টি উইকেট নিতে সক্ষম হন। শেষমেশ এই ম্যাচে কোন দল জয় পায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।