অ্যাশেজ সিরিজ ২০২৩-এর দ্বিতীয় টেস্টেও জয়ী হল প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডকে ৪৩ রানে পরাজিত করল তারা। লর্ডস টেস্টটি জিতে নিয়ে অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২ উইকেটে পরাজিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। তাই এই ম্যাচটিতে জয় পাওয়াটা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু শেষমেশ আবারও পঞ্চম দিনে এসে অস্ট্রেলিয়ার সামনে তাদের হার মানতে হল। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। অস্ট্রেলিয়া প্ৰথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে একটি বড় রান তুলতে সক্ষম হয়। তারা ১০০.৪ ওভারে ১০ উইকেটে ৪১৬ রান করে। স্টিভ স্মিথ প্ৰথম ইনিংসে শতরান পান। তিনি ১৮৪ বলে ১১০ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন।
এই ইনিংসে অলি রবিনসন এবং জশ টং দুজনেই ৩টি করে উইকেট নেন। জো রুট ২টি উইকেট শিকার করেন। জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রড ১টি করে উইকেট পান। ইংল্যান্ড প্ৰথম ইনিংসে ৭৬.২ ওভারে ১০ উইকেটে ৩২৫ রান করতে সক্ষম হয়। বেন ডাকেট ১৩৪ বলে ৯৮ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলেন। মিচেল স্টার্ক ৩টি উইকেট শিকার করেন। জশ হ্যাজেলউড এবং ট্র্যাভিস হেড ২টি করে উইকেট নেন। প্যাট কামিন্স, নাথান লিয়ন এবং ক্যামেরন গ্রিন ১টি করে উইকেট পান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৭ রান করল ইংল্যান্ড
দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ১০১.৫ ওভারে ১০ উইকেটে ২৭৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন উসমান খাওয়াজা। তিনি ১৮৭ বলে ৭৭ রান করেন। স্টুয়ার্ট ব্রড ৪টি উইকেট শিকার করেন। জশ টং এবং অলি রবিনসন ২টি করে উইকেট নেন। জেমস অ্যান্ডারসন এবং বেন স্টোকস ১টি করে উইকেট পান।
এই ম্যাচটিতে জেতার জন্য ইংল্যান্ডকে ৩৭১ রান করতে হত। কিন্তু ৮১.৩ ওভারে ৩২৭ রানে তাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। অধিনায়ক বেন স্টোকস অনেক চেষ্টা করেও শেষমেশ দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। তিনি একটি দুরন্ত শতরান করেন। তিনি ৯টি চার এবং ৯টি ছয় সহ ২১৪ বলে ১৫৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর অস্ট্রেলিয়ার জয় ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শেষমেশ জশ টংকে আউট করে ম্যাচটি জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড এবং প্যাট কামিন্স প্রত্যেকেই ৩টি করে উইকেট নেন। ক্যামেরন গ্রিন ১টি উইকেট পান। এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ।