ফাইনালের মঞ্চে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন মহম্মদ সিরাজ। শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারকে এদিন ক্রিজে গদাঁড়ানোর কোনও সুযোগই দিলেন না। তাঁর বোলিংয়ের সামনে এদিন শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের কোনও জবাব ছিল মা। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে এলেন এহং শ্রীলঙ্কাকে কার্যত একাই শেষ করে দিয়ে গেলেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে একাই তিনটি উইকেট তুলে নিলেন মহম্নদ সিরাজ। আর তাতেই কার্যত আপ্লুত সকলে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন শুধুই মহম্মদ সিরাজের বন্দনায় রয়েছেন সকলে।
দু ওভার বোলিং করেই শ্রীলঙ্কার সেরা চার ব্যাটারকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। সেইসঙ্গেই ওডিআই ক্রিকেটের ম়ঞ্চে ৫০ উইকেটের গন্ডী টপকে গেলেন এই তারকা বোলার। বিশ্বকাপের আগে মহম্মদ সিরাজের এমন পারফরম্যান্স যে ভারতীয় দলের আত্মংবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দজিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেইসঙ্গেই গোটা বিশ্বকে একটা বার্তাও বোধহয় দিয়ে রাখলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারকে তাদের ঘরের মাঠে নীরবহদর্শকের ভূমিকা পালন করতে রীতিমত বাধ্য করলেন মহম্মদ সিরাজ।
তিন ওভারে ৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ
ভারতের বিরুদ্ধে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। এখানকার পরিবেশ এবং বৃষ্টির কথা বিচার করে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে বড় রান করার লক্ষ্যে ছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। কিন্তু নতুন বলে মহম্মদ সিরাজ যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে সেই ধারণা তাদের ছিল না। সেটাই করলেন এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। প্রথম উইকেটটা নিয়ে জসপ্রীত বুমরাহ শুরুটা করেছিলেন। এরপর গোটা মাঠ জুড়ে শুধুই মহম্মদ সিরাজের ঝড় দেখা গেল।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে নিজের তিন ওভারের মধ্যে একাই তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট । সেই সময় রান দিয়েছিলেন মাত্র ৫। ওডিআই ফর্ম্যাটে দেশের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত এটাই তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লের মঞ্চে তিন ওভার বোলিং করে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে কার্যত ম্যাচের ভাগ্য তিনি একাই লিখে দিলেন। আর সেটা দেখার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধুই মহম্মদ সিরাজকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের ঝড় উঠেছে।
কুশল পেরেরার উইকেট নিয়ে শুরুটা করেছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। এরপর থেকেই মাঠে শুরু মহম্মদ সিরাজের ঝড়। শুরুটা করেছিলেন পাথুম নিসাঙ্কার উইকেটটা নিয়ে। এরপর বিধ্বংসী বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়ে একে একে সামারা বিক্রমা, চরিথ আসালঙ্কা, দাসুন শনাকা এবং ধনঞ্জয় ডিসিলভাগদের সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই যে ম্যাচের ভাগ্য কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলাই যায়।