ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২১ রানে হারাল তারা। এই টুর্নামেন্টে এটি ছিল তাদের চতুর্থ জয়।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করে। দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র মিলে স্কোরবোর্ডে ৬৮ রান যোগ করেন। কনওয়ে ৩৯ বলে ৩৫ রান করতে সক্ষম হন। রাচিন ৯৪ বলে ১০৮ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ১৫টি চার এবং ১টি ছয়। কেন উইলিয়ামসনও ব্যাট হাতে একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন। তিনি ৭৯ বলে ৯৫ রান করেন। তিনি এই ইনিংসে ১০টি চার এবং ২টি ছয় মারেন। তিনি এবং রাচিন মিলে ১৮০ রানের একটি অসাধারণ পার্টনারশিপ করেন।
ড্যারিল মিচেল ১৮ বলে ২৯ রান করতে সক্ষম হন। মার্ক চ্যাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে নিজের উইকেট হারান। গ্লেন ফিলিপস ২৫ বলে ৪১ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন। মিচেল স্যান্টনার ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষমেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০১ রান করে নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে বল হাতে খুব ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তিনি ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। হারিস রউফ, হাসান আলি এবং ইফতিখার আহমেদ যথাক্রমে ১০ ওভারে ৮৫ রান, ১০ ওভারে ৮২ রান এবং ৮ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট নেন।
ফখর জামান একটি দুরন্ত শতরান করেন
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নিজের উইকেট হারান আবদুল্লাহ শফিক। তিনি ৯ বলে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর পাকিস্তানকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ফখর জামান ৮১ বলে অপরাজিত ১২৬ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৮টি চার এবং ১১টি ছয় মারেন। অধিনায়ক বাবর আজম ৬৩ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ২টি ছয়। শেষমেশ ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০ রান করে পাকিস্তান। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তান এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তাদের পয়েন্ট সংখ্যা হল ৮। নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচটি হারার পরেও প্ৰথম চারে রয়েছে। তাদের পয়েন্ট সংখ্যাও হল ৮। নেট রান রেট বেশি হওয়ায় তারা পাকিস্তানের আগে রয়েছে।