This content has been archived. It may no longer be relevant
অবশেষে ডাব্লুউপিএলে জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ইউপি ওয়ারিয়র্জকে ৫ উইকেটে পরাজিত করল তারা। ৫ ম্যাচ পরে অবশেষে জয় পেল স্মৃতি মান্ধানার দল।
ইউপি ওয়ারিয়র্জের দুই ওপেনার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হন। অ্যালিসা হিলি ৩ বলে ১ রান এবং দেবিকা বৈদ্য ১ বলে ০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এই দুজনের উইকেটই নেন সোফি ডিভাইন। ব্যাট হাতে অসফল হয়েছেন তাহলিয়া ম্যাকগ্রাও। তিনি ২ বলে ২ রান করে মেগান শুটের বলে আউট হন। পরপর উইকেট পড়ে যাওয়ায় কিরণ নভগিরে একটি ধীরগতির ইনিংস খেলেন। তিনি ২৬ বলে ২২ রান করে আশা শোবানার বলে আউট হন।
এরপর গ্রেস হ্যারিস এবং দীপ্তি শর্মা ইউপির ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। তাদের মধ্যে ৬৯ রানের পার্টনারশিপ হয়। দীপ্তি শর্মা ৪টি চার সহ ১৯ বলে ২২ রান করে এলিস পেরির বলে আউট হন। গ্রেস হ্যারিস ৩২ বলে ৪৬ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ২টি ছয়।
তিনিও এলিস পেরির শিকার হন। হ্যারিসের পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে দলের জন্য তেমন কোনো অবদান রাখতে পারেননি। শেষমেশ ১৯.৩ ওভারে ১০ উইকেটে ১৩৫ রান করে ইউপি ওয়ারিয়র্জ। এই ম্যাচে এলিস পেরি হলেন ব্যাঙ্গালুরুর সবচেয়ে সফল বোলার। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সোফি ডিভাইন এবং আশা শোবানা যথাক্রমে ৪ ওভারে ২৩ রান এবং ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। শ্রেয়াঙ্কা পাটিল ১টি উইকেট পেয়েছেন।
শ্রেয়াঙ্কা পাটিল এবং রিচা ঘোষের সুন্দর ইনিংসের হাত ধরে ম্যাচ জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই স্মৃতি মান্ধানার উইকেট হারায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তিনি ৩ বলে ০ রান করে দীপ্তি শর্মার শিকার হন। আরেক ওপেনার সোফি ডিভাইন ৬ বলে ১৪ রান করে গ্রেস হ্যারিসের বলে আউট হন। এলিস পেরিও ব্যাট হাতে রান বানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দেবিকা বৈদ্যর বলে সোফি একলেস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। হিদার নাইট ২১ বলে ২৪ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন।
কণিকা আহুজা একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তিনি ৩০ বলে ৪৬ রান করে সোফি একলেস্টোনের শিকার হন। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ১টি ছয়। রিচা ঘোষ এবং শ্রেয়াঙ্কা পাটিল যথাক্রমে ৩২ বলে ৩১ রান এবং ৩ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দীপ্তি শর্মা ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। গ্রেস হ্যারিস, দেবিকা বৈদ্য এবং সোফি একলেস্টোন ১টি করে উইকেট নেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান করে ম্যাচটি জিতে নেয়। এই ম্যাচে অসাধারণ ব্যাটিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান কণিকা আহুজা।









